কেন আইপিএস-এর পরিবর্তে সোলার প্যানেল?


সোলার প্যানেল আমাদের দেশে ইদানীং যথেষ্ট সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ গ্রামীণ শক্তি, হাইড্রেন বাংলাদেশ এবং আরও অনেক বেসরকারি সংস্থা সোলার প্যানেল সরবরাহ, স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে থাকে। সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়ও খুব বেশি নয়। আইপিএস-এর ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ব্যাটারি চার্জ করা হয় এবং ব্যাটারি চার্জের জন্য অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল গুনতে হয়। কিন্তু সোলার প্যানেল ব্যবহার করে আমরা অতি সহজেই সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে ব্যাটারি চার্জ করে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের হাত থেকে রেহাই পেতে পারি। বিদ্যুতের ব্যবহার অনুযায়ী নিম্নরূপে সোলার প্যানেলের সংখ্যা নির্ণয় করা হয়।

ধরি, একটি বাসগৃহে টি ২৫ ওয়াট ক্ষমতার এনার্জি সেভিং বাল্ব ও ৮০ ওয়াট ক্ষমতার ২টি সিলিং ফ্যান চালানোর জন্য সোলার প্যানেল স্থাপন করতে হবে। একটি সোলার প্যানেলের (সাইজ-৩৭১৯.৫")বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ ওয়াট। বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ = টি ২৫ ওয়াট বাল্ব + টি ৮০ ওয়াট ফ্যান = ×২৫+×৮০ = ৭৫+১৬০= ২৩৫ ওয়াট।

সুতরাং প্যানেল সংখ্যা = ২৩৫ ÷ ৫০ = ৪.৭০ অর্থাৎ টি প্যানেল স্থাপন করতে হবে। এজন্য ১২ ভোল্ট রেটিং এর ব্যাটারি এক বা একাধিক স্থাপন করা যেতে পারে। ব্যাটারি সংখ্যা যত বাড়ানো যায়, সোলার প্যানেল সিস্টেম এর ব্যাকআপ টাইপ তত বেশি হয়।

সোলার প্যানেল ও আইপিএস-এর মূল পার্থক্য হলো সোলার প্যানেল সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে ব্যাটারিতে জমা করে; পক্ষান্তরে আইপিএস বিদ্যমান বিদ্যুৎ ব্যবস্থার বিদ্যুৎ দিয়ে ব্যাটারি রিচার্জ করে। অর্থাৎ আইপিএস ব্যবহার করলে ব্যাটারি রিচার্জ এর জন্য অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল গুনতে হয়। বিদ্যুৎ লাইন থাক বা না থাক, যে কোন রৌদ্রজ্জ্বল স্থানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের সুবিধা গ্রহণ করা যায়। কিন্তু কেবলমাত্র বিদ্যমান বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় লোড শেডিংয়ের সময় আইপিএস কাজে লাগে। এছাড়া আইপিএস-এর ব্যাটারি রক্ষণাবেক্ষণ সোলার প্যানেল সিস্টেমের ব্যাটারি রক্ষণাবেক্ষণের চেয়ে জটিল। সর্বোপরি সোলার প্যানেল সিস্টেম একটি ব্যয়সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব শক্তি ব্যবস্থা

Powered by Blogger.