এয়ার কন্ডিশনিং ও রেফ্রিজারেন্ট
বর্তমান সময়ে এয়ার
কন্ডিশনার একটি সুপরিচিত যন্ত্রের নাম। দালানে মনোরম
ও স্নিগ্ধ শীতল পরিবেশ পেতে হলে এয়ার কন্ডিশনারের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না। এয়ার কন্ডিশনিং
বলতে আমরা বুঝি বাতাসের তাপমাত্রার এরূপ নিয়ন্ত্রণ যেন ঘরের ভিতরে সর্বদা আরামদায়ক
অবস্থা বজায় থাকে। তবে আমাদেরমত গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশে আরামদায়ক তাপমাত্রা বলতে গরমকালে
শীতল পরিবেশকে বুঝায় আর শীতপ্রধান দেশে এয়ার কন্ডিশনিং বলতে ঘরের তাপমাত্রা প্রয়োজনে
ঠান্ডা বা গরম করা উভয়কে বুঝায়।
এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে বাতাসের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেফ্রিজারেন্ট (সাধারণত গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে) ব্যবহার করা হয় যা একটি চক্রের ভিতর দিয়ে পুন: পুন: ব্যবহৃত হয়। উক্ত চক্রটি নিম্নে ছবির সাহায্যে দেখানো হল।
এয়ার কন্ডিশনিং
চক্র
রেফ্রিজারেন্ট (refrigerant) বা তাপ পরিবাহক পদার্তের মূল বৈশিষ্ট হল এটির স্ফুটনাংক (boiling point) ঘরের তাপমাত্রা থেকে অনেক কম ও বেশি চাপে তরল অবস্থায় থাকে। যেমন লাইটারে বা রান্নায় ব্যবহৃত গ্যাস স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও চাপে গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে কিন্তু লাইটারের ভিতর বা সিলিন্ডারের ভিতর এই গ্যাস অধিক চাপে তরল অবস্থায় থাকে।
বর্তমানে প্রচলিত সকল রেফ্রিজারেন্ট এর মধ্যে R410A এবং R134 পরিবেশ সহায়ক। R22 এর পরিবর্তে এই দুইটি রেফ্রিজারেন্ট সারা পৃথিবীতে ব্যবহৃত হচ্ছে। R410A
এর দাম R22 এর চেয়ে বেশি হলেও এটি কম কমফোরট বাড়ায়, পরিস্কার বাতাস দেয়। অন্যদিকে R22
যা বাজারে ফ্রেয়ন (ফ্রেয়ন ২২) নামে পরিচিত ব্যবহারে ওজন স্তরের ক্ষতি হয় বলে এটির ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হয়। ২০২০ সাল নাগাদ এর উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। রেফ্রিজারেন্ট এর ধরণ অনুযায়ী এয়ার কন্ডিশনার ডিজাইন করা হয়। এয়ার কন্ডিশনার যে রেফ্রিজারেন্ট এর জন্য ডিজাইন করা হয় সেটিতে কেবল ঐ রেফ্রিজারেন্টই ব্যবহার করতে হবে, অন্য কোন রেফ্রিজারেন্ট এর সাথে এটি কম্পাটিবল হবে না। এজন্য এয়ার কন্ডিশনার কিনতে গেলে এতে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্ট সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার।