এয়ার কন্ডিশনিং এর প্রকারভেদ


উইন্ডো টাইপ

পৃথক পৃথক রুমে ব্যবহারের জন্য এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এয়ার কন্ডিশনার এতে একটি আয়তকার বক্সে এয়ার কন্ডিশনিং সাইকেল এর সকল উপাদান যথা- কমপ্রেশর, কনডেনসার, এক্সপানশন ভালভ, ইভাপোরেটর সম্মিলিতভাবে একসাথে থাকে এটি দেওয়াল ভেঙ্গে কোন সুবিধাজনক স্থানে বা জানালার সিল লেভেলে বসানো হয় দেওয়াল বা জানালাতে বসানো হলে এয়ার কন্ডিশনার ও দেওয়ালের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান বায়ুরোধী পদার্থ দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে যাতে ঠান্ডা বাতাস বেরিয়ে যেতে না পারে এগুলো সাধারণত ১ থেকে ৩ টন পর্যন্ত হয়ে থাকে।


স্প্লিট টাইপ

এই ধরণের এয়ার কন্ডিশনারে দুইটি অংশ থাকে আউট ডোর অংশ এবং ইনডোর অংশ আউটডোর অংশে কমপ্রেশর, কনডেনসার এবং এক্সপানশন ভালভ থাকে ইনডোর অংশে থাকে ইভাপোরেটর ও ফ্যান এটি দেওয়াল না ভেঙ্গে সুবিধাজনক স্থানে বসানো যায় বর্তমান সময়ে উইন্ডো টাইপ এর চেয়ে এটির ব্যবহার অধিক সমাদৃত এগুলো সাধারণত ১ থেকে ৫ টন পর্যন্ত হয়ে থাকে।


প্যাকেজড্ টাইপ

দুই বা ততোধিক রুমের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে এই ধরণের এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহৃত হয় এই পদ্ধতি দুই রকমের হতে পারে প্রথম পদ্ধতিতে সকল অংশ যথা কমপ্রেশর, কনডেনসার (যা বাতাস বা পানি দ্বারা ঠান্ডা করা হয়), এক্সপানশন ভালভ, ইভাপোরেটর একটি বক্সে রাখা হয় এবং ঠান্ডা বাতাস একটি শক্তিশালি ব্লোয়ার দ্বারা ডাক্ট পাইপের মাধ্যমে বিভিন্ন রুমে পাঠানো হয় দ্বিতীয় পদ্ধতিতে (যা স্প্লিট প্যাকেজ নামে পরিচিত) বাহিরে একটি বক্সে কমপ্রেশর, কনডেনসার রাখা হয় এবং ইনডোর অংশে এক্সপানশন ভালভ ও ইভাপোরেটর থাকে প্রথম পদ্ধতির তুলনায় দ্বিতীয় পদ্ধতি কিছু বেশি ব্যবহুল এবং স্থাপন কাজও জটিল তবে দ্বিতীয় পদ্ধতি প্রথমটির তুলনায় এনার্জি এফিসিয়েন্ট এবং মেইন্টেনেন্স খরচ কম এগুলো ৪ টন থেকে শুরু করে ১০ টন পর্যন্ত হয়।



সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম

বৃহৎ পরিসর যথা- বড় এপার্টমেন্ট, বাড়ি, হোটেল, জিমনেশিয়াম, ফ্যাক্টরি, শপিং মল ইত্যাদিতে সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ণ্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করতে গেলে এই ধরণের এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয় সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম একটি বিশাল কমপ্রেশর এর মাধ্যমে শত শত টন এয়ার কন্ডিশনিং করা হয়

Powered by Blogger.