এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম এর বিভিন্ন কমপোনেন্ট


এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম

কমপ্রেশর 

এটি মূখের সামনের বস্তুকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টেনে নেয়, ঠেলে দিতে হয় না। যখন রেফ্রিজারেন্ট পদার্থ (গ্যাসীয়) কমপ্রেশর এর ভিতর দিয়ে যায় তখন কমপ্রেশর এর সাকশন সাইড বা লো-প্রেশার সাইড এই বাস্পকে সংকুচিত করে। ফলে আয়তন কমে যায় ও তাপমাত্রা বেড়ে যায়। কমপ্রেশর থেকে বেরিয়ে আসা রেফ্রিজারেন্ট পদার্থ (বাস্প) প্রচন্ড গরম অবস্থায় থাকে। এজন্য চালু অবস্থায় কমপ্রেশরের কপার পাইপে হাত দিলে হাত পুড়ে যাবে। 

কনডেনসার 

প্রচন্ড গরম রেফ্রিজারেন্ট কমেপ্রেশর থেকে বেরিয়ে কপার পাইপের মাধ্যমে একটি কনডেনসার (ঘনীভবন) কয়েলের ভিতর প্রবেশ করে। যখন বাস্পায়িত রেফ্রিজারেন্ট কয়েলের ভিতর চলাচল করে তখন একটি ফ্যানের সাহায্যে কয়েলের উপর বাতাস দেওয়া হয় যাতে রেফ্রিজারেন্ট ঠান্ডা হয়ে যায়। এই অবস্থায় রেফ্রিজারেন্টটি বাস্পায়িত অবস্থা থেকে তরলে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ রেফ্রিজারেন্ট পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। রেফ্রিজারেন্টে ঠান্ডা হলেও তা ঘর ঠান্ডা করার কাজে লাগে না, বাস্তবে আমাদের দরকার ঠান্ডা বাতাস, ঠান্ডা রেফ্রিজারেন্ট নয়।

এক্সপানশন ভালভ 

দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্থাৎ কনডেনসেশন স্টেজে রেফ্রিজারেন্ট পদার্থটি তাপ হারিয়ে তরলে পরিণত হলেও এতে চাপের কোন পরিবর্তন ঘটে না। অর্থাৎ রেফ্রিজারেন্ট পদার্থটি উচ্চ চাপে তরল অবস্থায় কনডেনসার থেকে বের হয়। তৃতীয় পর্যায়ে রেফ্রিজারেন্ট প্রসারণ ভালভের ভেতর দিয়ে যায়। উক্ত প্রসারণ ভালভের ভিতর রেফ্রিজারেন্ট পদার্থের আয়তন বেড়ে চাপ কমে যায়।

ইভাপোরেটর 

চতুর্থ পর্যায়ে রেফ্রিজারেন্ট ইভাপোরেটর (বাস্পীভবন) কয়েলে প্রবেশ করে। ইভাপোরেটর কয়েলে একটি ফ্যানের সাহায্যে বাতাস প্রবাহিত করা হয়। এই পর্যায়ে কম চাপে তরল রেফ্রিজারেন্ট দ্রুত ফুটতে আরম্ভ করে ও বস্পীভূত হতে থাকে। বাতাসের তাপশক্তি শোষণ করে রেফ্রিজারেন্টটি তরল অবস্থা থেকে বাস্পীভূত হয়, ফলে তাপমাত্রা হারিয়ে বাতাস ঠান্ডা হয়। ইভাপোরেটর থেকে ঠান্ডা বাতাস বেরিয়ে ঘরকে ঠান্ডা করে তোলে।
Powered by Blogger.