বোর্ড অব ট্রেড ইউনিট (বিওটি)
এটি বিদ্যুৎ এর বানিজ্যিক
ব্যবহারের একক। প্রতি ঘন্টায় এক হাজার ওয়াট বা কিলোওয়াট আওয়ার দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
এটি ইউনিট নামেই বেশ পরিচিত। এক বিওটি কারেন্ট দ্বারা একটি ২৫ ওয়াট বাতি ৪০ ঘন্টা যাবৎ
জ্বলে বা একটি ৪০ ওয়াট বাতি ২৫ ঘন্টা যাবৎ আলো দেয়।
Z = অলটারনেটিং কারেন্ট এর মোট রেজিস্ট্যান্স (ওহম) যাকে ইমপিডেন্স
বলে।
অ্যাকুমুলেটর
বিদ্যুৎ শক্তি রাসায়নিকভাবে জমা করে রাখার যন্ত্রকে অ্যাকুমুলেটর বলে।
আরমেচার
কয়েল
এটি ডায়ন্যামোর সেই অংশ যেটি ইলেকট্রিক কারেন্ট দ্বারা আবেশিত হয়।
কম্যুটেটর
আরমেচার কয়েলের শেষ প্রান্তের কপার বা ব্রাশ স্ট্রিপ থেকে কার্বন ব্রাশ দ্বারা
ঘর্ষণের সাহায্যে বিদ্যুৎ সংগ্রহ করা হয়।
রিওস্টেট
(rheostat)
ইলেকট্রিক কারেন্ট এর পরিবর্তনীয় রেজিস্ট্যান্স পরিমাপের জন্য
এক বা একাধিক কয়েলবিশিষ্ট যন্ত্র।
সিরিজ
অ্যয়ারিং
এটি এমন এক অ্যয়ারিং ব্যবস্থা যেখানে সার্কিট সম্পূর্ণ করার আগে দুইবা ততোধিক
বাতির ভিতর দিয়ে একই কারেন্ট প্রবাহিত হয়।
শর্ট
সার্কিট
যদি কারেন্ট বাতি, মটর ইত্যাদির ভিতর দিয়ে সার্কিট সম্পন্ন করার আগে কোন কারণে
শর্ট কাট পথে পজিটিভ ও নেগেটিভ কন্ডাক্টরের মধ্যে সংযোগ ঘটে তাকে শর্ট সার্কিট বলে।
এতে আগুন লেগে যাওয়ার মত দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা থাকে। ক্যাপাসিটির চেয়ে বেশি লোড ব্যবহার,
অ্যয়ারিং এর কাজে নিম্নমানের তারের ব্যবহার, দালান এক উদ্দেশ্যে নির্মাণ করে আরেক উদ্দেশ্যে
ব্যবহার যেমন- আবাসিক দালান কারখানা হিসাবে ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণের অপ্রতুলতা ইত্যাদি
কারণে শর্ট সার্কিটজনিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সার্জ অ্যারেস্টার
এটি এমন একটি প্রোটেকটিভ
ডিভাইস যা সার্জ কারেন্ট ডিসচার্জ এর মাধ্যমে সার্জ ভোল্টেজকে সিমীতকরণ করে। ওভারহেড
লাইন ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি সুরক্ষা করতে এটি ব্যবহৃত হয়। লো এবং মিডিয়াম
ভোল্টেজ ওভারহেড লাইনের জন্য গ্যাস লাইটনিং অ্যারেস্টার ব্যবহার করা হয়।
সুইস
এই ডিভাইসের সাহায্যে
একটি ইলেকট্রিক সার্কিট ভাঙা বা জোড়া লাগানোর কাজ করা হয়।
এই যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চ
বিদ্যুৎচাপকে (হাই-ভোল্টেজ) নিম্ন বিদ্যুৎচাপে (লো-ভোল্টেজ) রূপান্তর করা হয়।
ইলেকট্রিক ফ্যান
ইনক্যানডিসেন্ট ল্যাম্প
সাধারণত
আলো জ্বালানোর কাজে এ ধরণের বাতি ব্যবহার করা হয় এবং এক হাজার ঘন্টা পর্যন্ত এগুলো জ্বলতে পারে।
০, ১৫, ২৫, ৪০, ৬০, ৭৫, ১০০, ১৫০, ২০০, ৩০০, ৫০০, ১০০০ ওয়াট ক্ষমতা বিশিষ্ট বাল্ব বাজারে
পাওয়া যায়। এসব বাল্ব এর নিম্ন মূল্যের কারণে বাসা বাড়িতে আলো জ্বালানোর কাজে ব্যবহার
হয়ে থাকে।
ইনক্যানডিসেন্ট ল্যাম্প এর পাশাপাশি দালানে ফ্লোরেসেন্ট টিউব
লাইট এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এটি চোখ ধাধানো ঔজ্জ্বলতার পরিবর্তে মিষ্টি আলো ছড়ায়।
একই বিদ্যুৎ খরচে ইনক্যানডিসেন্ট ফিলামেন্ট ল্যাম্প এর চেয়ে টিউব লাইটে তিন চারগুন
বেশি আলো পাওয়া যায় এবং চার ভাগের এক ভাগ তাপ তৈরি করে। বাজারে যেসব ফ্লোরেসেন্ট টিউব
পাওয়া যায় সেগুলো সাধারণত ৪০ ওয়াট ও ৬০ ওয়াট এবং দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ১২২০
মিমি ও ১৫২৫ মিমি। সকল বৈদ্যুতিক বাতি ও ফিটিংসে দালানের মেঝেতল থেকে ২.৪ মি
উপরে স্থাপন করা উচিত। আজকাল বাজারে এনার্জি ল্যাম্প পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোর দাম বেশি
হলেও বিদ্যুৎ ব্যবহার অনেক কম বলে তা ইনক্যানডিসেন্ট ল্যাম্প এর পরিবর্তে ক্রমশ জনপ্রিয়
হয়ে উঠেছে।
ইলেকট্রিক ফ্যান
- টেবিল ফ্যান বা দেওয়াল ফ্যান।সাইজ: ২০০, ২৫০, ৩০০, ৪০০ মিমি (ফ্যানের ব্যাস)।
- প্যাডেস্টাল ফ্যান। সাইজ: ৪০০, ৬০০ মিমি (ব্যাস)।
- সিলিং ফ্যান। সাইজ: ৯০০, ১২০০, ১৪০০, ১৫০০, ১৮০০ মিমি।
